ট্রেনের লোকেশন জানার উপায়-কাউন্টারে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম
ট্রেনের লোকেশন জানার উপায় সম্পর্কে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। এছাড়া ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। ট্রেন সম্পর্কিত সকল তথ্য জানার জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি।
এছাড়াও এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি আরো জানতে পারবেন মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে কিভাবে ট্রেনের টিকিট কাটতে হয়। পুরো আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি আরো জানতে পারবেন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রেলওয়ে স্টেশন কোনটি।
ট্রেনের লোকেশন জানার উপায়
বাংলাদেশের জনগণ বছরের বারোমাসি ভ্রমণ করে ট্রেনে। ট্রেন ভ্রমন করতে অনেক মানুষ সাচ্ছন্দ্য বোধ করে।সেটি হলো ট্রেন এ কোনো ঝাকুনি নাই, প্রশস্ত জায়গা, অনেক কম খরচে ভ্রমন করা যায় এবং অনেক আরামদায়ক ভাবে ভ্রমন করা যায়। কিন্তু আপনার এই আরামদায়ক যাত্রা বদলে দিতে পারে ট্রেনটি যদি আসতে দেরি হয়।
বর্তমানে আন্তঃনগর ট্রেনগুলো সঠিক সময়ে নিয়ম করেই চলাচল করছে। এমনটা বলারও সুযোগ নেই যে ট্রেন দেরি করবে না। দূরপাল্লার যাত্রী রাই যেহেতু ট্রেনে বেশি চলাচল করে তাই সকলের উচিত স্টেশনে যাওয়ার পূর্বে ট্রেনটির লোকেশন জেনে নেওয়া। এছাড়াও আপনারা প্ল্যাটফর্মে বসে ট্রেনের লোকেশন জানতে পারলে অহেতুক অপেক্ষা থেকে অনেক নিস্তার পাওয়া যায়।
এসএমএস বা মেসেজের মাধ্যমে ট্রেনের লোকেশন জানার উপায়-
- ধাপ ১. মোবাইলের মেসেজ অপশন বাই ডিফল্ট সকল ফোনেই চালু থাকে। মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশন চালু করুন। সাধারণ বাটন ফোন থেকেও আপনি এটি করতে পারবেন খুব সহজেই।
- ধাপ ২. মেসেজ অপশনে গিয়ে এই নির্দিষ্ট নাম্বারটি টাইপ করুন। নাম্বারটি হল 16318 ।এবার মেসেজ পাঠানোর পালা।
- ধাপ ৩. ট্রেনের লোকেশন জানার জন্য মেসেজ লেখার একটি নির্দিষ্ট ধরন রয়েছে। সেটি হল প্রথমে লিখতে হবে TR এর পরে ট্রেনটির নাম অথবা ট্রেনটির কোড। TR<space>Ekota, TR<space>705। এখানে একতা নামক ট্রেন এবং ৭০৫ নং ট্রেন একই। ১৬৩১৮ নম্বরে মেসেজটি পাঠানোর অল্প কিছুক্ষণ এর মধ্যেই ফিরতি মেসেজের মাধ্যমে ট্রেনের লোকেশন সম্পর্কে বিস্তারিত চলে আসবে। এইভাবে ট্রেনের লোকেশন জানা যায়।
অনলাইন ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম
ট্রেনের মাধ্যমে যাত্রাকে সবচেয়ে নিরাপদ ও সাশ্রয়ী পরিবহন ধরা হয়। তাই দূরপাল্লার ভ্রমণে সবাই ট্রেন স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। বর্তমানে ট্রেনের টিকিট কাটা অনেক কষ্টসাধ্য অনেক সময় লম্বা লাইন ধরে অপেক্ষা করার পরও ট্রেনের টিকিট পাওয়া যায় না। তবে এখন থেকে আপনি খুব সহজেই ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে ট্রেনের টিকিট বুকিং করতে পারবেন।
ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য ১২ বছর বা তার বেশি বয়সী সবাইকে নিবন্ধন করতে হবে। কাউন্টার অনলাইন, মোবাইল মাধ্যমে টিকিট কিনতে চাইলে যাত্রীরা অনলাইনে অথবা এসএমএস এর মাধ্যমে খুব সহজেই নিবন্ধন করে নিতে পারবেন। যে যাত্রী ভ্রমণ করবে অনলাইনে টিকিট কাটার সময় তার এন আই ডি লাগবে।
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম হলো- অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটতে হলে রেলওয়ে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট eticket.reilway.gov.bd রেজিস্টার অপশন এ গিয়ে আপনার নিবন্ধন করা ফোন নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।তারপর কোন স্থান থেকে ট্রেনে উঠবেন, আপনার গন্তব্য, ভ্রমণের তারিখ, কোন শ্রেণীর সিটে ভ্রমণ করবেন সেসব অপশন সিলেক্ট করুন।
এরপর আপনার পছন্দের সিট বেছে নেওয়ার অপশন পাবেন। এরপর কোন সিটে ভ্রমণ করতে চান সেই সিট সিলেট করুন এবং অনলাইনে পেমেন্ট সম্পন্ন করার মাধ্যমে টিকিট আপনার নামে বুক হয়ে যাবে।
কাউন্টারে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম
বর্তমানে জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদ ছাড়া ট্রেনের টিকিট কাটা যাবে না। বিদেশি পর্যটকদের পাসপোর্ট দেখিয়ে টিকিট নিতে হবে। রেলের টিকিট কাটার জন্য জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে নিবন্ধন করে নিতে হবে। এরপর সেই নিবন্ধনটি নির্বাচন কমিশন থেকে তাদের রক্ষিত ডাটাবেসের মাধ্যমে যাচাই করবে।
নিবন্ধনটি সম্পূর্ণ হলে যাত্রীরা টিকিট কাটতে পারবে। একটি নিবন্ধিত একাউন্ট দিয়ে একসাথে চারজন যাত্রা করতে পারবেন। কিন্তু একজনের পরিচয় পত্র দিয়ে টিকিট কেটে অন্য কেউ ভ্রমণ করতে পারবে না। কাউন্টারে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম হলো-কাউন্টার থেকে টিকিট কাটার জন্য মোবাইল থেকে মেসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করতে হবেBR<space>NID নম্বর <space> জন্ম তারিখ (সাল/মাস/দিন) ২৬৯৬৯ নাম্বারে পাঠাতে হবে।
ফিরতি মেসেজের মাধ্যমে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে নিবন্ধন সফল বা ব্যর্থ হয়েছে কিনা নিবন্ধন সঠিক হলে এরপর কাউন্টারে জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার জন্ম নিবন্ধন সনদ বা পাসপোর্ট দেখালেই টিকিট পেয়ে যাবেন।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্টেসন কোনটি
২০২১ সালের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের মোট রেলওয়ে স্টেশন ৪৯৩ টি।এর মধ্যে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রেলওয়ে স্টেশন হচ্ছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন এই স্টেশনটির দাপ্তরিক নাম ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত কেন্দ্রীয় রেলওয়ে স্টেশন। এটি দেশের সর্ব বৃহত্তম ও সবচেয়ে বড় রেলওয়ে স্টেশন।
পাকিস্তান আমলে তৈরি করা হয়েছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন। ব্রিটিশ ভারতীয় আমলে নির্মিত হয় স্টেশনের রেলপথটি। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে মোট ১১ টি প্লাটফর্ম রয়েছে। এছাড়াও কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে মসজিদ হাসপাতাল থানা সহ অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে।
লেখকের মন্তব্য আশা করি আপনি পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পেরেছেন কিভাবে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটতে হয়, ট্রেনের লোকেশন জানার উপায় ও বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রেলওয়ে স্টেশন কোনটি। আশা করি এই সম্পর্কিত সকল বিষয় পড়ে আপনি বিশেষ ভাবে উপকৃত হয়েছেন। এরকম আরো আর্টিকেল পড়ার জন্য কমেন্টে জানান
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url