কোন মাছ চাষে লাভ বেশি - পোনা মাছ চাষ পদ্ধতি
এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি মাছ চাষের সকল বিষয়ে জানতে পারবেন। কিভাবে মাছ চাষ করলে লাভবান হওয়া যায় এবং কোন মাছ চাষ করে লাভবান হওয়া যায় এই সম্পর্কে আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত বলা হয়েছে।
ভূমিকা
বর্তমানে বাংলাদেশে মাছ চাষের চাহিদা অনেক এবং এটি একটি লাভজনক ব্যবসা। বর্তমানে বাংলাদেশে চাষকৃত মাছের চাহিদা বিশ্ববাজারে দিন দিন অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই ভালোভাবে মাছ চাষ পদ্ধতি জেনে মাছ চাষ করা উচিত। চলুন মাছ চাষের অনেকগুলো ধাপ রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত জেনে নেই।
মাছ চাষের জন্য পুকুর প্রস্তুতি
কৃষিবিদ রিয়াদুল আলম বলেন পোনা মাছ ছাড়ার পূর্বে পুকুর প্রস্তুত করে নিতে হবে। পুরনো পুকুর সাধারণত তৈরি করে নেওয়া হয়। পর্যায়ক্রমে পুকুর প্রস্তুতির কাজটি করতে হবে।
চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক মাছ চাষ করার পূর্বে কিভাবে পুকুর প্রস্তুত করে নিতে হয়। পুকুর প্রস্তুতির ধাপ গুলো হল-
১ম ধাপ-কচুরিপানা,গাছের পাতা, জলজ আগাছা, হেলেঞ্চা শেখরসহ পুকুর থেকে তুলে ফেলে দিতে হবে।
২য় ধাপ- পুকুর থেকে রাক্ষুসে মাছ শোল,বোয়াল,গজার,টাকি এবং অবাঞ্চিত মাছ যেমন চান্দা, পুটি,মলা, ঢেলা এসব সম্পূর্ণভাবে সরিয়ে ফেলতে হবে।
৩য় ধাপ- এরপর পুকুরে চুন প্রয়োগ করতে হবে প্রতি শতকে ১ কেজি হারে। যদি পুকুরে পানি থাকে তাহলে বালটিতে বা ডামে করে চুন গুলিয়ে পুরো পুকুর ছিটিয়ে দিতে হবে।
৪র্থ ধাপ- চুন দেওয়ার এক সপ্তাহ পর পানি ও মাটির গুনাগুন বিবেচনায় রেখে এক সপ্তাহ পর জৈব সার দিতে হবে।
৫ম ধাপ- যদি পুকুরটি শুকনা হয় তাহলে চুন, সার, গবর সবকিছু একসাথে ছিটিয়ে লাঙ্গল দিয়ে চাষ করে পানি দিতে হবে।
৬ষ্ঠ ধাপ- পুকুরে ক্ষতিকর পোকামাকড় থাকলে তা মেরে ফেলতে হবে পোনা মজুদের আগে।
৭ম ধাপ- এরপর পুকুরে পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক খাদ্য হলে পোনা মজুদ করে দিতে হবে। পোনার মৃত্যুর হার যেন কম হয় সেজন্য নির্দিষ্ট পরিমাণে পোনা ছাড়তে হবে এবংপোনার আকার যেন ১০ থেকে ১২ সেন্টিমিটার হয়।
৮ম ধাপ- প্রতিদিন নিয়ম করে দিনে দুইবার অর্থাৎ সকাল ১১ টায় এবং বিকাল ৩টায় মাছের সম্পূরক খাবার প্রয়োগ করতে হবে যেমন খৈল, ভুসি, মাছের ফিড, ভাত ইত্যাদি।
মাছ চাষের সতর্কতা
- যে মাছের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বেশি সে মাছ চাষ করতে হবে।
- পুকুরে সঠিক পরিমাণে পোনা মজুদ করতে হবে। পুকুরে পোনা পরিমাণে বেশি হলে মাছ বৃদ্ধি হতে সময় বেশি লাগে।
- পনা গুলো রোগে আক্রান্ত কিনা তা পোনা ছাড়ার আগেই নিশ্চিত করতে হবে।
- পুকুরে চারদিকে বড় বড় গাছ থাকা যাবে না কারন পুকুরে সূর্যের আলোর ব্যবস্থা করতে হবে এবং পুকুরে যেন কোন আগাছা না জন্মায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
কোন মাছ চাষে লাভ বেশি
যারা মাছ চাষ করছেন বা করতে চাচ্ছেন তাদের কমন একটি প্রশ্ন হচ্ছে কোন মাছ চাষে লাভ বেশি-
কয়েক শতাব্দী ধরে মাছ চাষ বাংলাদেশের আয়ের ও কর্মসংস্থানের প্রধান উৎস। মাছ চাষ করে অত্যন্ত লাভজনক হতে পারেন যদি সঠিক পরিকল্পনা ও সঠিক কৌশল অবলম্বন করতে পারেন।
বাংলাদেশে মাছের চাহিদা বৃদ্ধি হওয়ার কারণে লাভজনক এই মাছের চাষ দিন দিন বেড়ে চলছে। বাংলাদেশের পরিবেশ ও জলবায়ুর জন্য কোন ধরনের মাছ চাষ সবচেয়ে বেশি লাভজনক সে সম্পর্কে জানবো।
সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করার মাধ্যমে মাছ চাষ করে সর্বাধিক মুনাফা অর্জন করা যেতে পারে এবং গ্রাহকদের চাহিদা মত মাছের সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারে।
আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক কোন মাছ চাষে কেমন লাভ হয়-
১. চিংড়ি মাছ- বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম লাভজনক মাছ হচ্ছে চিংড়ি। বিশ্বের যে কোন দেশে এর চাহিদা রয়েছে অনেক এবং সেই সাথে সাথে চিংড়ির উৎপাদন ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের মধ্যে চাষ করা চিংড়ির প্রধান জাত হল লিটোপেনিয়াস ভেনামি (সাদা চিংড়ি)। এই প্রজাতির চিংড়ির রোগ প্রতিরোধ এবং বাংলাদেশের জলবায়ু ও পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। এছাড়া চিংড়ির অন্যান্য প্রজাতির তুলনায় তুলনামূলকভাবে খরচ অনেক কম। সঠিক পরিকল্পনা ও সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ভালো আয় পাওয়া সম্ভব ।
২. তেলাপিয়া মাছ- তেলাপিয়া মাছ বাংলাদেশের মাছ চাষীদের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাছ। তেলাপিয়া মাছ এমন একটি প্রজাতির মাছ যা দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং বিভিন্ন আবাসস্থলে প্রজনন কম করার ক্ষমতা রাখে। তুলনামূলকভাবে তেলাপিয়া মাছ চাষে খরচ অনেক কম। তেলাপিয়া মাছ বাজারজাত করতে বেশি একটা সময় লাগে না, ২ মাস থেকে ৩ মাস এর মধ্য এই মাস বাজারজাত করা যায়। তেলাপিয়া মাছ বাংলাদেশ আবহাওয়ায় অল্প সময়ে উচ্চ ফলন দিতে সক্ষম হয়। অন্যান্য মাছের তুলনায় এই মাছকে খাবার অনেক কম দিতে হয় এই কারণে মাছ চাষীদের তেলাপিয়া মাছ চাষে আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
৩. পাঙ্গাস মাছ- চাষ করা বাংলাদেশের একটি সাধারণ ধরনের মাছ হচ্ছে পাঙ্গাস মাছ। সাম্প্রতিক সময়ে এই মাছের চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলছে। ক্যাটফিস প্রজাতির মাছ পাঙ্গাস। অন্যান্য মাছের তুলনায় এই মাছের ফলন দেয় অনেক বেশি এবং তুলনামূলক অন্যান্য মাছের চেয়ে উৎপাদন খরচ অনেক কম। পাঙ্গাস মাছ উভয় পরিবেশের যেকোনো পানিতে চাষ করা যায়, যা চাষে বৈচিত্র্যের একটি বৃহত্তর অনুমতি দেয়। পাঙ্গাস মাছ একটি স্থিথিস্থাপক প্রজাতি পরিবেশগত বিভিন্ন ধরনের হুমকির প্রতিরোধ করে তুলতে পারে।
৪. সিলভার কার্প মাছ- বাংলাদেশের চাষে লাভজনক একটি প্রজাতি সিলভার কার্প এটির বাজার মূল্য উচ্চ এবং এর বাজারে চাহিদা রয়েছ অনেক। সিলভার কার্প মাছ পরিপক্কতা অর্জন করতে সময় লাগে ১৬ থেকে ২০ মাস। এই মাছ চাষ অন্যান্য মাছ চাষের পদ্ধতির তুলনায় অনেক সহজ। এই মাছ অত্যন্ত পুষ্টিকর খাদ্য যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফ্যাটি এসিড এবং প্রোটিন রয়েছে।
৫.রুই মাছ- রুই মাছ বাংলাদেশের স্থানীয় মিঠা পানির মাছ। রুই মাছ একটি লাভজনক প্রজাতির মাছ। রুই মাছ দ্রুত বৃদ্ধি পায় যা, ৬ মাসে বিক্রির আকারে পৌঁছে যায়। রুই মাছের বাজার মূল্য তুলনামুলক অনেক বেশি। তুলনামূলকভাবে অনেক সহজ রুই মাছ চাষ করা। তাই রুই মাছ বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে লাভজনক হিসেবে বিবেচিত করা হয়েছে। প্রোটিনের চাহিদা পূরণের একটি চমৎকার উৎস এই মাছ। এই মাছের জনপ্রিয়তা বাংলাদেশের বাজারে এবং বিশ্ববাজারে অনেক রয়েছে।
মাছ চাষের আধুনিক পদ্ধতি
বাংলাদেশের মানুষের আয়ের অন্যতম একটি মাধ্যম হচ্ছে মাছ চাষ। বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে দেশের অনেক ডোবা-নালা, পুকুর- দিঘি, হাওর-বাওর সবকিছু ভরাট করে বসতি বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। যার ফলে মাছ চাষের স্থান দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। এছাড়াও জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে মাথাপিছু প্রাণীজ আমিজের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।
মাছ চাষ করা একটি লাভজনক কার্যক্রম হলেও মাছ চাষের প্রয়োজনীয় জ্ঞান দক্ষতা ও কলাকৌশল এর অভাবেই অনেকেই কাঙ্ক্ষিত মুনাফা অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে।বায়োফ্লক এর মাধ্যমে আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করা হয়ে থাকে। অল্প পুঁজি ও স্বল্প স্থানে এই আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে অধিক লাভবান হওয়া যায়।
উদ্যোক্তাগন ও মৎস্য অফিস এর দাবি একদিকে যেমন বেকার সমস্যা দূরীকরণ হবে এবং সেই সাথে আমিষের ঘাটতি যোগানে সাহায্য করবে এই আধুনিক পদ্ধতি। এই পদ্ধতির মাধ্যমে বাড়ির আঙ্গিনায় ঘরের মধ্যে মাছ চাষ করা হচ্ছে। শুনতে অনেকটা বেমানান লাগলেও বর্তমানে এটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।স্বল্প স্থানে ও অল্প পুজিতে অধিক ঘনত্বের মধ্যে ঘরোয়া ভাবে আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করাকে বায়োফ্লক বলে।
পরিবেশবান্ধব একটি বিকল্প প্রযুক্তি পানিতে বিদ্যমান পুষ্টি ক্রমাগতভাবে পুণ্য ব্যবহার নিশ্চিত করে। শুরুর দিকে এই পদ্ধতিতে মাছ চাষে মানুষের মধ্যে একটু চিন্তা থাকলেও বর্তমানে এভাবে মাছ চাষে অনেকেই আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে অনেক লাভবান হওয়া যায়। এই পদ্ধতিতে মাছ চাষের ফলে বাংলাদেশের জনসংখ্যা আমিষের চাহিদার ঘাটতি মেটাতে পারে।
পোনা মাছ চাষ পদ্ধতি
পোনা মাছ চাষ করার জন্য কয়েকটি ধাপ রয়েছে। এইসব ধাপ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান ও ধারণা থাকা উচিত। পোনা চাষ করার জন্য পুকুরে গভীরতা থাকা প্রয়োজন। পোনা মাছের অক্সিজেনের সরবরাহের কারণে পুকুরের গভীরতা হ্রাস বা বৃদ্ধিতে পোনা মাছের সমস্যা হতে পারে। এমনকি পোনা গুলো মারা যেতে পারে। সুতরাং পুকুরের গভীরতা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে থাকা উচিত।
আতুর পুকুরের গভীরতা ১.৫ মিটার থেকে ২.০ মিটার ও চারা পুকুরের গভীরতা ২. ৫ মিটার থেকে ৩.৫ মিটার পর্যন্ত রাখতে হবে।পোনা মাছগুলো সাধারণত কোমল প্রকৃতির হয়ে থাকে। এসব মাছ দ্রুত ছোটাছুটি করতে পারেনা। এবং পোনা মাছ চাষের পুকুর গুলো ছোট হওয়ার কারণে তাদের ছোটাছুটি করার সুযোগও কম থাকে। এর ফলে রাক্ষুসে জাতীয় মাছ, সাপ ও ব্যাঙ সহজেই স্বীকার করতে পারে।
পোনা মাছের পুকুরে এসব দেখা গেলে সাথে তা সরিয়ে ফেলতে হবে।চলুন এবার পোনা মাছের খাবার সম্পর্কে আলোচনা করা যাক। পোনা মাছের পুকুরে খাবারের চাহিদা যাচাই না করে খাদ্য দেওয়া উচিত নয় এছাড়া পরিবেশ ও আবহাওয়ার কারণে পোনা মাছ প্রতিদিন সঠিকভাবে খাবার খেতে নাও পারে। খাবারের চাহিদা যাচাই না করে খাবার দিলে অতিরিক্ত খাবার পুকুরে তলায় জমা হয়ে পুকুরের পানি ও মাটির গুনাগুন নষ্ট করে দেয়।
পুকুরে পরিমাণ মতো পানির গুনাগুন বজায় রাখার কারণে সার ব্যবহার করতে হবে। তবে অতিরিক্ত সার প্রয়োগের ফলে পানির গুনাগুন সঠিকভাবে বজায় রাখার পরিবর্তে পানির গুনাগুনকে নষ্ট করে দেয়। এছাড়াও অতিরিক্ত খাবার ও অতিরিক্ত সার প্রয়োগের ফলে পানির উপরের অংশে শ্যাওলা জমতে পারে।
অতিরিক্ত শ্যাওলা পোনা মাছের জন্য খুবই ক্ষতিকর।পোনা মাছ সুস্থতার লক্ষণ চাষ কালীন সময়ে দেখা যায় ভোরের দিকে পোনা মাছ দল বেঁধে পানির উপর ভেসে ওঠে সাঁতার কাটে বা ছোটাছুটি করে। তবে মেঘলা আকাশে পানির নিচে দীর্ঘ সময় মাছ খাবি খেয়ে থাকলে ধরে নিতে হবে যে পোনা মাছগুলো কোন সমস্যায় ভুগছে বা অসস্তিতে রয়েছে।।
এ সময় রোগ প্রতিকারের দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। সাধারণত পানিতে অক্সিজেন কমে গেলে অথবা পানি দূষণ হলে পোনার শ্বাসকষ্ট হয়। পোনা মাছ যখন পানির উপরে উঠে এসে খাবি খেতে থাকবে তখন পানির গুনাগুন পরীক্ষা করতে হবে। এ সময় পানিতে সাঁতার কেটে অথবা পানিতে মৃদুভাবে বাস দিয়ে ঢেউ জাগিয়ে পানির অক্সিজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে।
মিশ্র পদ্ধতিতে মাছ চাষের সুবিধা
এক বা একাধিক প্রজাতির মাছ একসাথে চাষ করাকে মিশ্র পদ্ধতিতে মাছ চাষ বলে। পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে অনেক লাভবান হওয়া যায়। এ পদ্ধতিতে অন্যান্য পদ্ধতির তুলনায় মাছ চাষে তুলনামূলক খরচ অনেক কম হয়। মিশ্র পদ্ধতিতে মাছ চাষ করার ফলে অতিরিক্ত খাবার প্রয়োগে কোন প্রভাব পড়ে না কারণ বিভিন্ন স্তরের মাছ বিভিন্ন স্তরের খাবার গুলো খেয়ে ফেলে।আসুন এখন জেনে নেওয়া যাক মিশ্র পদ্ধতিতে মাছ চাষের কিছু সুবিধা-
- মিশ্র পদ্ধতিতে মাছ চাষের ফলে বিভিন্ন ধরনের মাছ একসাথে চাষ করা যায় এবং মাছ তাড়াতাড়ি বড় হয়।
- মিশ্র পদ্ধতিতে মাছ চাষের কারণে মাছগুলো সঠিক সময়ে বেড়ে ওঠে।
- মিশ্র চাষে খাদ্যের পরিমাণ নির্দিষ্ট মাপে প্রয়োগ করতে হয়
- মিশ্র পদ্ধতিতে মাছ চাষের ফলে বিভিন্ন স্তরের মাছ থাকার কারণে বিভিন্ন স্তরের মাছ বিভিন্ন খাদ্য খায় এর ফলে খাদ্য নষ্ট হয় না।
- অল্প জায়গায় অধিক পরিমাণে মাছ উৎপাদন করা যায় এবং পুকুরের প্রাকৃতিক খাদ্যকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো হয়।
লেখকের কথা এই আর্টিকেলটি পরে আপনি মাছ চাষের অনেকগুলো বিষয়ে জানতে পেরেছেন। মাছ চাষের সকল পদ্ধতি এবং কোন মাছ চাষে লাভ বেশি এ বিষয়ে আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। অতএব আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগলে আপনার পরিচিত মানুষ এর মধ্যে শেয়ার করুন এবং অন্যান্য বিষয়ে জানার থাকলে কমেন্টে জানান।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url